গণঅধিকার পরিষদ-এবি পার্টি নিবন্ধন পাচ্ছে না 

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাচ্ছে না । সেই সঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) আরও ৯টি দলসহ ছিটকে পড়ছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের তালিকা থেকে।

১      নুরপন্থী গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
২    সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
৩    সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ


তবে এবার মাত্র দুটি দল পাচ্ছে ইসির নিবন্ধন। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি- বিএসপি। নতুন দুটি দলের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।

সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি ইসি। তাই তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। 

রোববার কমিশন সভা শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে বিএনএম ও বিএসপি নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে দল দুটিকে নিয়ে আগামীকাল (সোমবার) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারো কোনো আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপত্তি নিষ্পত্তির পরে কমিশন সন্তুষ্ট হলে দল দুটিকে নিবন্ধন দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অফিস থাকার কথা, কমিটি থাকার কথা, জনবল থাকার কথা... এগুলো সব যাচাই করেছি। পুনরায় যাচাই করে এই দুটি দলের আইন অনুযায়ী সবকিছু থাকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। 

এরপরই চূড়ান্ত হবে যে, কারা কারা নিবন্ধন পাবে। বাকি ১০টি দল যে তথ্য দিয়েছে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে গরমিল পাওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। সেগুলো হলো- আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)। ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কি না তা দুই দফা যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ২১টি জেলা ও ১০০টি উপজেলা বা থানায় কার্যকরী কমিটি ও কার্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলায় দলের অন্তত ২০০ জন ভোটার থাকার নিয়ম রয়েছে। দুই দফায় এসব দলের মাঠ কার্যালয় ও কমিটি যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই ধাপে পাওয়া প্রতিবেদন রোববার কমিশন সভায় তোলা হয়েছে। এতে যারা শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তারা নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।