ভোটার উপস্থিতি আমরাও দেখতে পাচ্ছি কম: ইসি রাশেদা

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোটার উপস্থিতি আমরাও দেখতে পাচ্ছি কম। কারণ হিসেবে আমার ব্যক্তিগত মতামত, এটা খুবই স্বল্প সময়ের নির্বাচন; সংসদের মেয়াদ খুবই স্বল্প সময়ের, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এটা একটা কারণ হতে পারে।

সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ওটা একটা অভিজাত এলাকা। এই ভোটের ব্যাপারে ওনারা আগ্রহী হয়তো নাও হতে পারেন, আমি ঠিক জানি না কী হয়েছে। এটা আমরা জানতে পারব আরও পরে। ভোট আগে হোক, ফলাফল হোক, কত শতাংশ হয় দেখা আমরা। গ্রহণযোগ্য পারসেন্ট হতেও তো পারে! আর আমি যখন গেছি তখন টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। এটাও হতে পারে, বৃষ্টির কারণে ওই সময় ভোটাররা আসেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়বে বলে আমাদের ধারণা। 

সুষ্ঠু পরিবেশ নেই অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলামের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা তদন্ত করব, সত্যি কি না মিথ্যা দেখব। অভিযোগ কিন্তু নানা জন, নানাভাবে আনতে পারে। অভিযোগ এলেই সত্য বা মিথ্যা- তা কিন্তু না। সেটার সত্যতা যাচাই করা দরকার। সত্যতা যাচাইয়ের পরে নিশ্চয়ই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে ওনি কেন বর্জন করলেন আমি সেটা বুঝতে পারলাম না। ওনি তো পরিবেশটা দেখতে পারতেন, সারা দিন ভোট আছে, ৪টা পর্যন্ত। কন্টিনিউ করলে কী হতো? চলেও যেতে (পাস করতে) পারত। দিনের শুরুতেই আমি ন্যায্য অবস্থাটা পাচ্ছি না বললে মুশকিল তো একটু হয়। আমার মনে হয়, ভোট ৪টা পর্যন্ত, ওনি দেখতে পারতেন ভোটটা ওনার চাওয়া মতো হচ্ছে কি না।

আওয়ামী লীগ এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে বলে হিরো আলম হিরো আলমের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ওইভাবে আসেনি। যদি সেটা হয়েও থাকে ওনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানাতে পারতেন। জানিয়েছেন কি না তাও জানি না। আমরা খোঁজ-খবর নেব, যদি ঘটনা ঘটে থাকে...এখন ভোট চলছে তো! ভোট বন্ধ হয়ে গেছে এ রকম তো নেই! হয়তো ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য কিছু...জানি না কী হয়েছে। আমরা অবশ্যই এটার তথ্য নেব এবং ব্যবস্থা নেব।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। এতে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত ছাড়াও ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাশিদুল হাসান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. আকতার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকের মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), ট্রাক প্রতীকের মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞা, বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর ডাব প্রতীকের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, তৃণমূল বিএনপি’র সোনালী আঁশ প্রতীকের শেখ হাবিবুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সিকদার আনিসুর রহমান।

ইসির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ভোটার। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন। ১২৪টি কেন্দ্রের ৬০৫টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে। এ উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করছে ইসি।