বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর রেললাইন বন্ধ করতে চেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৩:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে লোকসানের কারণে রেললাইন বন্ধ করতে চেয়েছে। রেলের কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায়ও দেয়, কিন্তু তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। ঠিক সেসময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেল কীভাবে উন্নত হয়, সে পদক্ষেপ নিই। পরে আবার দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে এসে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেই। আমি দেখলাম, আলাদা মন্ত্রণালয় না করলে আর বাজেটে তাদের জন্য আলাদা বরাদ্দ না থাকলে রেল উন্নত করতে পারবো না।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, যে যত পরামর্শ দিক, দেশটা আমাদের। আর এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আমাদেরই করতে হবে। সেই চিন্তা থেকে আমি দেশ চালাই। কবে কে কী পরামর্শ দিয়েছে সেটা নয়, মানুষের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে আমরা পদক্ষেপ নিই। আমার দেশ, আমার চিন্তা, আমার দেশের মানুষের কিসে মঙ্গল সেটা আমরাই ভালো বুঝি।

এসময় বিএনপির হাতে রেলের ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাস ছাড়া কিছু বোঝে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু, চারনেতা হত্যাসহ নানা হত্যা, ক্যু’তে জড়িত। এরপর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও একইপথে হেঁটেছে। ২০১৪-১৫ সালে দলটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইন নষ্ট করে। অগ্নিসন্ত্রাস করে।

আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার অংশে আগে একটি রেললাইন ছিল। এখন তা দুই লেন করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর মধ্যদিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আন্তঃনগর ট্রেনের যাতায়াত সময় পৌনে এক ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা কমবে। এ লাইনে একসময় শুধু মিটারগেজ ট্রেন চলতে পারতো। তবে দুই লেন চালু হওয়ার পর থেকে সেখানে মিটারগেজের পাশাপাশি ব্রডগেজ ট্রেনও চলতে পারবে।