সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেশপ্রেমিকদের হাতে দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হচ্ছে সেনাবাহিনী। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম, সৎ এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২২ জুলাই) সেনা সদর দফতরে ‘সেনাবাহিনী নির্বাচনী পরিষদ-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। সামগ্রিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশের প্রতিরক্ষার কাজে নয়, বরং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও অবিচ্ছেদ্য অংশীদার।

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে দেশের ভাবমূর্তি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া সেনাবাহিনী জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, তা ধরে রাখার জন্য আহ্বানও জানান তিনি।

শেখ জামালের কৃতিত্বের স্মারক স্বরূপ প্রাপ্ত Army Certificate of Qualification টি শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন সেনাপ্রধান
মিয়ানমারের সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের কাঁধে বিরাট বোঝা। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি, যুদ্ধ করতে যাইনি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকেও সক্রিয় করার চেষ্টা করছি যাতে রোহিঙ্গারা নিজের দেশে ফিরে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে অনেক সাশ্রয় হবে। আমরা আমাদের কক্সবাজারকে অনেক উন্নত করতে পারব।

বৈশ্বিক সংকটে উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।