গয়েশ্বরের ওপর হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

বাংলাদেশে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিক্ষোভ ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্বচ্ছতার সাথে তদন্ত চালিয়ে সহিংতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহবানও জানায় দেশটি।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানান তিনি।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সম্প্রতি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর প্রবেশমুখ। এই সহিংসতার খবর ঠাঁই পায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও।

সংঘাতের বিষয়টি উঠে আসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের তাগিদ দেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানাই দেশটির সরকারকে।

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন ম্যাথিউ।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত হয়ে যেন জনগণ তার উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে এমন পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে সরকারকে। এছাড়াও প্রতিটি দলকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে হবে। সবরকম সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শণ থেকে দূরে থাকতে হবে।

এসময় বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান এই মার্কিন কূটনীতিক।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সময় পুরান ঢাকার ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় গয়েশ্বর আহত হন। দুপুরের দিকে পুলিশভ্যানে করে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে গয়েশ্বর খাবার খান। বিকেল ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে গয়েশ্বরকে নয়াপল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়।