ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সনদ জালিয়াতির অভিযোগে সচিবালয়ে আটক গৃহায়নের দেলোয়ার

সনদ জালিয়াতির অভিযোগে সচিবালয়ে আটক গৃহায়নের দেলোয়ার

সনদ জালিয়াতি এবং নানা দুর্নীতির অভিযোগে সচিবালয়ে আটক হয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেন। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।

সচিব বলেন, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। সে বিষয়ে গতকাল মন্ত্রণালয়ে শুনানি করা হয়। তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সচিব বলেন, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ফাইল আটকে রাখা, ফাইল গায়েব করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়ম করে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এবং বিদেশে বাড়ি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি যেন বিদেশে যেতে না পারেন সে বিষয়ে আমরা ইমিগ্রেশনকে চিঠি লিখেছি। এর আগে তাকে রাজশাহীতে বদলী করা হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গৃহায়ন র্কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেন। পদে ছোট হলেও জাগৃকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের মতো ক্ষমতাবান হিসেবে পরিচিত তিনি। অভিযোগ থাকায় গৃহায়ন ভবনে বিশাল আকারের রুমে বসে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার প্লট ও ফ্ল্যাটের সব কাজ করেন দেলোয়ার। নিজে উচ্চমান সহকারী হলেও নিজের কাজ দাপ্তরিক কাজ করতে তার রয়েছে একাধিক লোক। নিজ নামের পাশাপাশি স্ত্রী, মা ও শ্যালকের নামে সংস্থাটি থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে ১০টি প্লট ও ফ্ল্যাট। মোহাম্মদপর-ধানমনিন্ড এলাকার দাপ্তরিক দায়িত্ব এছাড়া নিজের কব্জায় নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়েছেন একাধিক প্লট। শত শত কোটি টাকার মালিক। গত ২০১৭ সালের শেষ দিকে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে জাগৃকের কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদকের পদটিও দখলে নেন তিনি। তবে দেলোয়ার বলছেন, জাগৃকের কিছু কর্মচারী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে, যেগুলোর অধিকাংশই মিথ্যা।

সংস্থাটির কর্মচারীরা জানান, জাগৃকের সাবেক চেয়ারম্যান ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্যাশিয়ার থেকে ‘পদ বদলে’ হয়েছেন উচ্চমান সহকারী। জাগৃকের পাম্প অপারেটর আব্দুল ওহিদের ছেলে দেলোয়ার এখন সংস্থাটির অঘোষিত ‘সম্রাট পুনর্বাসন প্লট, পদোন্নতি, বদলি, নামজারি, বিক্রয় অনুমতি- সবই এখন দেলোয়ার সিন্ডিকেটের হাতে। দেলোয়ার সিবিএর সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পরই হয়ে ওঠেন বেশি বেপরোয়া। এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়াসহ বিস্তর অভিযোগ থাকা ‘প্রভাবশালী’ এ কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর দপ্তরে জমা লিখিত অভিযোগও খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাহাড়,সনদ,জালিয়াতি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত