নির্বাচন: রাতে সিল মারা ঠেকাতে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট সকালে পাঠাবে ইসি

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৮:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর চিন্তার কথা জানালেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সময়ে ব্যালটে অনুষ্ঠিত ভোটগুলোর নির্বাচনি সামগ্রী সকালে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাবো, পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হতে পারে।

নির্বাচনে রাতে সিল মারা ঠেকাতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠাবে এবারও নির্বাচন ব্যালটেই হবে। আগেও যেভাবে এগুলো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হতে পারে সেজন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।

রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, তার মধ্যে যেমন একটা, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠাই। তবে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে বা উন্নত না হয়, সেক্ষেত্রে একটু আগে পাঠাই। যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট শুরু হওয়ার আগেই যেখানে পৌঁছাতে পারবে সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই।

তিনি বলেন, যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, ব্যালট এভাবেই সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলো চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাব। পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হতে পারে, সেটাও খেয়াল রাখব।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, বিষয়টি আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়নি তেমন। ফরমাল কোনো আলোচনা হয়নি, চিন্তাভাবনা নেই। কারণ, আপনারা জানেন যে, ৩০০ আসনে যখন ভোট হয়, চার লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়তো বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে। এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেখা কঠিন।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বেশি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করব। সবগুলো দল যদি অংশগ্রহণ করে সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ, তারা জানেন যে, নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয় বা খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয় নিয়ে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। আর চাপ থাকবে কেন আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই।