স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায়। একই সঙ্গে অপর ৭ টি উপজেলায়ও কম-বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। বন্যা পরিস্থিতির উন্নত হয়ে ১৩ আগস্ট থেকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর পর থেকে ক্ষয়-ক্ষতির চিহ্ন ভেসে উঠদে শুরু করে।
যেখানে বন্যায় চিংড়ি ঘের, সড়ক, গ্রামীণ রাস্তা ও কালভার্টগুলোর বিধ্বস্ত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
কিন্তু ৫ দিনেও বন্যার পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পারেনি প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তথ্য মতে, বন্যায় সড়ক বিভাগের ৫৯ কিলোমিটার সড়ক এবং এলজিইডির ৮০ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা ও ৪৭টি ব্রিজ/কালভার্ট বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। পানি নেমে গেলে আর্থিক মূল্য জানা যাবে। জেলায় ১৫ হাজার ৬৩৮ হেক্টর ফসলি জমি, ১ হাজার ৭৫২টি পুকুর/ দীঘি/ খামার, ১ হাজার ৮৩২টি মৎস্য ঘের, ২৬২ মেট্রিক টন ফিন ফিশ, ৭০০ মেট্রিক টন চিংড়ি, ৯.৯৫ মেট্রিক টন পোনা ও ১৭৯টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকা কাছা-কাছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে এখনও প্রাথমিক তথ্যটি রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনও হাতে আসেনি। এর জন্য জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছেন।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তিনি পাননি। আশা করছেন রবিবারের মধ্যে তথ্য হাতে আসবে।