বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক : মাহবুবউল আলম

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে “মুত্যুঞ্জয়ী মুজিব” শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসিসিতে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই ও কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশা উপস্থিত ছিলেন । প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল আরফিনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোকদিবস ২০২৩ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। 

জাতীয় সংগীত ও ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে আলোচনাসভার সূচনা করা হয়। আলোচনাসভার পূর্বে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই এমপি প্রমুখ। 

এদিকে সকাল ১০টায় অনুষদ ভবনের নিচতলার করিডোরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচির সম্মিলিতভাবে উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ (এমপি) বলেন, পঁচাত্তরের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মধ্যে জিয়াউর রহমান যে কাজগুলো করেছিলেন তার কোনোটিই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। তার প্রতিটি কর্মকাণ্ডই ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থি। রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন এমন কোনো নজিরও নেই। বরং একাত্তরে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে তিনি কাজ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে এটা কেউ কখনও কল্পনা করতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির চক্রান্তে কিছু ভাড়াটি সেনারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। তিনি আইনমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, অতিদ্রুত বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। কারণ জাতি জানতে চাই এই হত্যাকান্ডের মূলনেপথ্যে কারা ছিল।

এছাড়া ৭৫’র হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে জাতি আজ দু’ভাবে বিভক্ত। একটি শক্তি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর অপরটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। যতদিন এ বিভক্ত থাকবে ততদিন এদেশ উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্থ হবে। তাই জাতির সামনে পরিস্কার হওয়া উচিত, কেন কি কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। তাই তদন্ত কমিশন গঠন খুব জরুরী হয়ে পড়েছে।