ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর

এবার সেই এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২০ | অনলাইন সংস্করণ

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে। এর আগে রমনা জোন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল তাকে।

রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে তাকে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। 
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পিওএম উত্তর বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হলো।

এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছে।

ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এডিসি হারুনের বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। ঘটনাটি তদন্ত করতে পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ তোলা হয় পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, এডিসি হারুন শনিবার বিকেলে ৩১তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পরিচয় দেওয়া ৩১তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতেই ঘটনা মীমাংসা করে দেন।

তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এর পরেই প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটে।