অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করেছে: ভোক্তা অধিকার

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আশ্বাস জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, চলতি বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে এতে দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। তবে একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করেছে। 

আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকার রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরির্দশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, আলুর বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে আলু দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আলু বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রিভারভিউ কোল্ডস্টোরেজে রশিদ ছাড়া আলু বিক্রির অপরাধে রসরাজ বাবু (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিনি ওই হিমাগারে ১০ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছেন এবং পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইলে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করেছিলেন।

ব্যবসায়ী রসরাজ বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে তার কথায় মিল না থাকায় এবং পাকা রশিদ ছাড়া আলু বিক্রি করায় হিমাগারে তার সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা মূল্যে সেই আলু বিক্রি করে দাম বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এদিকে, সরকার গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে । তবে এটা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে তারা যে আলু রাখেন, সেগুলো প্রতিবছর মে মাসের পর হিমাগার থেকে বের করেন। এবার আলুর সংকট থাকায় এপ্রিল মাস থেকেই আলু বের করা শুরু হয়েছে। এ জন্য হিমাগারে আলুর সংকট আছে। মজুত রাখা আলু ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মজুত করা আলু শেষ হয়ে যাওয়ার পর কৃষকদের কাছ থেকে চড়া দরে তাঁরা আলু কিনে রেখেছেন। এখন সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করতে গেলে কেজিতে ৮ থেকে ৯ টাকা করে লোকসান গুনতে হবে। এ জন্য তাঁরা আলু বিক্রি করছেন না। সরকারি লোকজন বেশি চাপাচাপি করলে এক সপ্তাহ তারা আলু বিক্রি বন্ধ রাখবেন।

হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগারে আলুর মজুত কম থাকায় ডিসেম্বরের আগেই তা শেষ হয়ে যাবে। এতে দেশে আলুর সংকট তৈরি হতে পারে।