জলবায়ু সংকট এড়াতে ধনী দেশগুলোকে সৎ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

জলবায়ু সংকট এড়াতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোকে সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আসন্ন সংকট এড়াতে বিশ্বের বৃহত্তর অর্থনীতির দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আশা করি দেশগুলো এ বিষয়ে সৎ থাকবে এবং আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে ভূমিকা রাখবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ইকোনমি ও সোশ্যাল কাউন্সিল (ইকোসক) চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান: ত্বরান্বিত উচ্চাকাঙ্খা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চস্তরের বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন এবং আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করা সঠিক। আমরা আশা করি আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাবে।’

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের দুটি উদ্যোগে সমর্থন দিতে বাংলাদেশ এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছে।’

জলবায়ু ন্যায্যতার একজন প্রবক্তা হিসেবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কোনো গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন দিতে প্রস্তুত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্প মডেলিং নিয়ে দেশব্যাপী একটি প্রদর্শনী মহড়া করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা আর্থ অবজারভেটরি হিসেবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু টু নিয়ে কাজ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকার সহযোগিতার মাধ্যমে অন্যান্য দুর্বল দেশগুলোর সঙ্গে তার দক্ষতা বিনিময় করতে ইচ্ছুক।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ‘সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কতা’ এমডিবি এবং আইএফআই-কে এই ধরনের প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৭০ সালে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে লক্ষাধিক লোক মারা গিয়েছিল তার তুলনায় বাংলাদেশে প্রাণহানির সংখ্যা এক অঙ্কে নেমে এসেছে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদের উপস্থিতিতে সেখানে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ৬৫ হাজার উপকূলীয় মানুষের সমন্বয়ে বিশ্বের বৃহত্তম কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ একটি সমন্বিত বহু-বিপত্তি প্রাথমিক সতর্কীকরণ পদ্ধতির সর্বশেষ জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের নিয়মিত আপডেট দেয়ার জন্য মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’