আজ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় কন্যা শিশু দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যাশিশুর অধিকার’।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরের ১১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। এদিকে প্রতিবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়। এই শিশু সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস। 

সারা বিশ্বেই নানা কারণে কন্যাশিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসা—সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যাশিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রসহ সমস্ত স্থানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যাশিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য। গৃহ-পরিবেশে একজন পুত্রসন্তানকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে আদর-যত্নে লালনপালন, শিক্ষার প্রতি যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই একজন কন্যাশিশুর মানসিক নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করার কথাই উচ্চারিত হয়ে থাকে এ দিবসে।

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস–২০২৩ উপলক্ষ্যে গতকাল এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে সফল নেতৃত্বের বিকাশে কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় আরো বেশি সচেষ্ট হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, এ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের সকল কন্যাশিশুসহ সব শিশুর প্রতি রইল আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা। আজকের কন্যাশিশুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা। কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ হবে যথার্থ বিনিয়োগ। কারণ আজকের কন্যাশিশুই আগামী দিনে গড়ে তুলতে পারবে একটি শিক্ষিত পরিবার ও বিশ্বসভায় নেতৃত্ব দানে পারদর্শী সুযোগ্য সন্তান। তিনি জাতীয় কন্যাশিশু দিবস–২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

দিবস উপলক্ষ্যে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে কন্যাশিশু। নারী ও কন্যাশিশুর মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন জেন্ডার সমতায় সারা বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কন্যাশিশুদের বিকশিত হওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপে এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাহলে তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে এবং আগামীর উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’