অনলাইন সংস্করণ
১৮:৫০, ০২ অক্টোবর, ২০২৩
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে দৌলৎগঞ্জ থানা জামে মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি শেষে একটি চিরকুট লিখে মসজিদে রেখে যায় চোর।
আমি চুরি করতে এসেছিলাম, কিন্তু সত্যি আমি চোর না। আমার মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ, তাই এটা করতে বাধ্য হলাম। আর শাস্তি পেলাম পায়ে সেলাই। আমার পা অনেকখানি কেটে গিয়েছে, আমাকে সবাই মাফ করে দিন। আমি এইচএসসি পাস। কিন্তু জীবনে কিছু করতে পারিনি।
চুরির পর একটি খাতার পাতায় রক্তমাখা হাতে এসব লিখে গেছে এক চোর। ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় অভিযুক্তকে আটক করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ। পরে চুরির যাবতীয় মালামাল উদ্ধার করে মসজিদ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার দিবাগত রাতে দৌলৎগঞ্জ থানা জামে মসজিদে কাঁচের দরজা ভেঙে এক যুবক মসজিদের রশিদ বই, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ার ফোন, মাইক সেটের অংশ বিশেষ চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় কাঁচের দরজা ভাঙতে গিয়ে তার হাত-পা কেটে রক্তাক্ত জখম। এছাড়া মসজিদের বাইরে থাকা দান বাক্সটি ভাঙার চেষ্টা করে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পর আমরা চোরকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে জানতে পারি, অভিযুক্ত যুবক জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত। সেখানে দিয়ে দেখি গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেছে তাকে।
তিনি আরও বলেন, ওই যুবক তার নাম আপন বলে জানিয়েছে। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জে। পরে জীবননগর থানার পুলিশ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করেছে।
