ভারতের উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণে তিস্তা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে এবং বাঁধ ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তিস্তাপাড়ে বড় আকারের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এরই মধ্যে ৫ জেলার সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বুধবার রাতে পাউবো পরিচালক (বোর্ড) ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার তিস্তা এলাকাগুলোতে বন্যাজনিত সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাউবোর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ দপ্তর বা কর্মস্থল ত্যাগ না করা নির্দেশ দেয়া হলো।
পাউবোর আরেক আদেশে বলা হয়েছে, বন্যা মনিটরিং ও বন্যাকালীন জরুরি যোগাযোগের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে একটি কন্ট্রোল রুম (০১৫৫২৩৫৩৪৩৩ ও ০১৭৮৭৬৯৪৭৮৮) নম্বর খোলা হয়েছে। দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হানের দায়িত্বে এই কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা সচল থাকবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যেকোনো জরুরি তথ্যের জন্য কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
পাউবো বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার বাংলাদেশ অংশের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার তিস্তার তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা হতে পারে।
নদীপাড়ের মানুষেরা জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বন্যা শঙ্কায় চিন্তিত তারা। চলতি মৌসুমে কয়েক দফায় বন্যা হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। মৌসুমের শেষ দিকে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কাও করছেন তারা।