সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনায় ৪৯৬ নিহত, বেশি মোটরসাইকেলে

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে সড়ক, রেলপথ ও নৌপথ দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭২ জনই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। রেলপথে দুর্ঘটনায় ৫১ জন ও নৌ-পথে দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত হন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য দুইজন, বিজিবি সদস্য একজন, সেনাবাহিনীর একজন, নৌবাহিনীর একজন, চিকিৎসক দুইজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনজন, সাংবাদিক দুইজন, বিভিন্ন পরিবহনের চালক ১০৭ জন, পথচারী ৫৮ জন, নারী ৪৩ জন, শিশু ৩৪ জন, শিক্ষার্থী ২৮ জন, পরিবহন শ্রমিক ১২ জন, শিক্ষক আটজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সাতজন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এ বিভাগে ১১৪টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বিভাগে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনটি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে তৈরি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ১৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ১০৭ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.০৫ শতাংশ, নিহতের ৪২.৭৮ শতাংশ এবং আহতের ২৬.৬১ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১০৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩৭.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৭.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনের সুপারিশগুলো হচ্ছে— মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; রাতের বেলা বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা নিশ্চিত করা; রাতের বেলা চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা; চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্ত দ্রুত অপসারন করা; গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত নিশ্চিত করা ও নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।