ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ হবে না : ড. সেলিম মাহমুদ

বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ হবে না : ড. সেলিম মাহমুদ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতি না থাকলে দেশ চালাবে কে, সমাজ চালাবে কে। আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাষ্ট্র নায়ক না হতেন, তাহলে বাংলাদেশ বহু আগে দেউলিয়া হয়ে যেত। তিনি ন¤্রতা, ভদ্রতা, মানবিকতা, আন্তরিকতা, প্রজ্ঞা, মেধা এবং অনেক সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। তাই কোন পরিস্থিতিতে তাকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।

শনিবার (৭অক্টোবর) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার রাজনৈতিক শিক্ষক। প্রতিদিনই আমি তার কাছে শিখছি। আমার মতে আরো কয়েকজনও শিখছেন। দুই দশকেরও বেশী সময় তার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং শিখছি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব তৈরী করে দিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে নির্বাচনী ইশতেহার এটি কোন দলীয় ইশতেহার নয়। এটি জাতির ইশতেহার।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে নির্বাচনী ইশতেহার এটি কোন দলীয় ইশতেহার নয়, এটি একটি জাতিরও ইশতেহার। এজন্য আমরা গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এবং কমিউনিটি লিডারদের কাছে আ’লীগের কাছ থেকে তাদের কি প্রত্যাশা, তারা কি ধরনের ইশতেহার দেখতে চায় সেটি আমরা জানতে চেয়েছি এবং আমরা বিপুল সাড়া পাচ্ছি সমাজের প্রতিটি জায়গা থেকে। গণবিজ্ঞপ্তির কারণে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে এবং মানুষ জানে আওয়ামী লীগই এই জাতিকে কিছু দিতে পারে। সবাই জানে বাঙালির পরিচয় পরিবর্তন হয়েছে পিতার মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কন্যার মাধ্যমে।

সেলিম মাহমুদ বলেন, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যত ইশতেহার দিয়েছে তা তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করেছেন। সেসব ইশতেহারে তিনি জাতির জন্য কি কি করবেন তা প্রত্যেকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। আমাদের প্রতিটি ইশতেহার পাঁচ বছর ভিত্তিক নয় দীর্ঘমেয়াদি প্রজ্ঞাপন থাকে এবং আমরা প্রত্যেকটি প্রতিপালন করি। আসন্ন নির্বাচনে ইশতিহারের নতুনত্ব হল শেখ হাসিনার ২০৪১ সাল ও ১০০ বছরের যে ডেল্টা প্ল্যান বাংলাদেশকে একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার তার স্বপ্ন এবং প্রত্যয়। আমাদের উন্নয়নগুলো একসময় ও নিষ্কণ্টক হওয়ার জন্য আমাদের ইশতেহারে ব্যাপক পরিকল্পনা থাকবে। ২০৪১ এর যে লক্ষ্য তাদের সুচারুভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং ১০০ বছরের ডেল্টা প্লানের আওতায় যেসকল্প পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যেন সফল হতে পারি, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি সে বিষয়টি দিকনির্দেশনা থাকবে। ইশতেহারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নতুন প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান। বিশেষ করে তরুণরা যাতে সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রের উপকারটা পায়, তারা যেন কল্যাণকামী রাষ্ট্রের বেনিফিট পায় তা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তিনি একাধারে জাতির পিতা অন্যদিকে এই দেশের প্রতিষ্ঠাতা। আ.লীগ হলো একমাত্র রাজনৈতিক দল যে দল এই রাষ্ট্র স্বাধীন করেছে। ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে অনেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে তবে বাংলাদেশ আ.লীগ অন্য ৮-১০ টি রাজনৈতিক দলের মত নয়। আ’লীগকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে মিলানো ঠিক হবে না। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। আজকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আ’লীগ যা যা করছে তা একটি ইতিহাস। স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাঙালি জাতির যত অবদান ও সাফল্য তার সবকিছুই আ’লীগের কারণে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি বাই চান্স রাজনীতিতে আসিনি, এসেছি বাই চয়েজ। দীর্ঘ ৩৮ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ফসল আজকের ড. সেলিম মাহমুদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে কচুয়া-১ আসন থেকে মনোনয়ন দেন, তাহলে কচুয়াবাসীকে নিয়ে আমি কাজ করবো। এসময় তিনি গত ১৫ বছরে আ.লীগের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ তুলে ধরেন এবং আগামী জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে পুনরায় নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে জয়যুক্ত করার আহŸান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, জিএম শাহীন, ল²ণ চন্দ্র সূত্রধর, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা।

বঙ্গবন্ধু,ভয়,সেলিম
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত