মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণগঞ্জের সীমান্ত  চরকিশোরগঞ্জে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায়  এক শিশু সহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় এখনো  আরো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।রোববার সকাল সাতটায় চাঁদপুর মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে মারওয়া (৮) ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। সকাল ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরঝাপটা এলাকা থেকে সাব্বির (৪০) হোসেনে নামে আরো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইমামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের। ওই এলাকর বোরহান উদ্দিনের মেয়ে উদ্ধার হওয়া শিশুটি। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬) গজারিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন থেকে উদ্ধার করা হয় ।

এর আগে গত শনিবার  সকালে একই দুর্ঘটনায় ওই এলাকার মফিজুল হকের স্ত্রী সুমনা আক্তার (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে মফিজুল হকের মেয়ে সাফা আক্তার (৪),  সাব্বিরের ছেলে রিমাদ (২)।বিআইডব্লিউটিএ-এর উপপরিচালক (নারায়ণগঞ্জ বন্দর) ওবায়দুল করিম খান সকাল ৮ টার দিকে  বলেন,শনিবার সারা রাত নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশের সদস্য ও ডুবরিরা কাজ করেছেন। সকালে ওই শিশুর লাশ চাঁদপুর মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকার একটি খালে ভেঁসে উঠে। এদিকে  সদর উপজেলার চরঝাপটা এলাকা থেকে সাব্বির হোসেনে নামে  আরো একটি  লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। গজারিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ধারনা করা হচ্ছে অন্য লাশ গুলো অক্ষত থাকলে এদিকে পাওয়া যেতে পারে।আমাদের উদ্ধারকারীরা খোঁজ করে যাচ্ছে।

গত শুক্রবার বিকেলে মফিজুল হক তাঁর স্ত্রী, সন্তান, স্বজনসহ ১১ জন নিয়ে ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন। ঘুরতে ঘুরতে তাঁদের ট্রলার চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় আসে। সেখান ঘোরাঘুরি শেষে ট্রলারটি সন্ধ্যার পর গজারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সে সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে বালু নিতে মুন্সীগঞ্জের বালুমহালের দিকে আসা একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ১১ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পাঁচজন তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ছয়জন। 

শুক্রবার রাতভর মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিখোঁজদের খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা।সকালে সুমনার লাশ পাওয়ার পর অন্যদের খোঁজে উদ্ধারকারীদের পাশাপাশি স্বজনরাও ট্রলার নিয়ে খোঁজা শুরু করেন।