মেয়াদের লেভেল তুলে বগুড়ার দই বিক্রি, ৪ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

বগুড়া থেকে দই এনে মেয়াদের লেভেল তুলে নতুন তারিখ সম্বলিত মেয়াদ লেভেল লাগিয়ে দই, ফিরনি সরবরাহ করার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারে শহরের হোটেল-মোটেল জোনে শৈবাল ফুড প্রোডাক্ট নামের এ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আমির হোসেন ঘটনার দায় স্বীকার করে জরিমানা আদায় করেন।

রোববার (৮ অক্টোবর)  বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক এএইচএম আসিফ বিন ইকরাম  এ জরিমানা করেন। এর আগে তার নেতৃত্বে কলাতলীর লেগুনা বিচ সংলগ্ন শৈবাল ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। 

বিক্রয় প্রতিষ্ঠানটির মালিক আমির হোসেন ঘটনার দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান থেকে শহরের বেশিরভাগ হোটেল-রেস্টুরেন্টে দই, ফিরনি, কাস্টার্ড ও পোডিং সরবরাহ করা হয়। দইগুলো আমি বগুড়া থেকে এনে গুদামে রেখে নতুন মেয়াদের লেভেল লাগিয়ে বাজারে বিক্রয় করতাম। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনে আমার প্রতিষ্ঠানে অভিযার চালায়। একই সঙ্গে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন। 

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং অফিসার মো. আসলাম উদ্দিন জানান, আমাদের কাছে তথ্য ছিল কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় শৈবাল ফুড প্রোডাক্ট নামের প্রতিষ্ঠানে ভেজাল খাদ্য তৈরি করে। এছাড়া বগুড়া থেকে দই এনে মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় নতুন মেয়াদের লেভেল লাগিয়ে দইগুলো বিক্রয় করছে। পরে বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ দই, কাস্টার্ড ও পোডিং পাওয়া যায়। এরপর আমাদের উপপরিচালক বিষয়টি খতিয়ে দেখে জরিমানা করে। 

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক এএইচএম আসিফ বিন ইকরাম বলেন, কক্সবাজার বাংলাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা। এখানে দেশি বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক আসেন। সকলের স্বার্থে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে দই, ফিরনি ও কাস্টার্ডে মেয়াদ লেভেল না থাকায় শৈবাল ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক দায় স্বীকার করায় নিরাপদ খাদ্য আইনে সর্বনিম্ন ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বগুড়া থেকে দই এনে নতুন তারিখ দিয়ে লেভেল করে এসব বিপণন করেন। এসব খাবার খেলে যেকেউ কিডনি, ক্যান্সার বা যেকোনো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবার আর তৈরি করবেন না বলে আমাদের মুচলেকা দিয়েছেন। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

অভিযানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিমল চাকমা উপস্থিত ছিলেন।