ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আক্রান্ত শিশুদের ৮৭ শতাংশই ডেঙ্গুর ডেন-২ ধরনে সংক্রমিত

আক্রান্ত শিশুদের ৮৭ শতাংশই ডেঙ্গুর ডেন-২ ধরনে সংক্রমিত

দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে, তাদের ৮৭ শতাংশ ডেন-২ জিনগত ধরন দ্বারা ও বাকি ১৩ শতাংশ শিশু ডেন-৩ ধরন দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ও অর্থায়নে এবং আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের রোগতাত্ত্বিক ও সেরোটাইপ নির্ধারণের এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা সভাপতিত্বে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও আইসিডিডিআরবি জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৩৯ জন ভর্তি শিশু রোগীর মধ্য থেকে ৭২২ জন শিশু রোগীকে রোগতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সেরোটাইপ নির্ধারণে এবং অন্যান্য ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণে ওই ৭২২ জন শিশু রোগী থেকে ১০৪ জন রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াব সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।

একইসঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ ছিল কিন্তু এনএস-১ অথবা আইজিএম পরীক্ষায় ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি এমন ৫০ জন ভর্তি রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াবও সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবি’র পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।

সেই অনুযায়ি, এনএস-১ এবং আইজিএম নেগেটিভ ৫০টি নমুনার মধ্যে আরটি পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭টি (৩৪ শতাংশ) ফলস নেগেটিভ পাওয়া যায় ও ডেঙ্গু নেগেটিভ রোগীর মধ্যে ১৯ শতাংশ রোগী এবং ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীর মধ্যে ১২ শতাংশ রোগী অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণে (ইনফ্লুয়েঞ্জা ও রেসপাইরেটরি সিনসাইটাল ভাইরাস) আক্রান্ত ছিল।

জিনোম সিকোয়েন্স এর এক গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমানে শিশুদের ভেতর ৮৭ শতাংশ ডেন-২ এর যে উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তার জীনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৮ সালের ডেন-২ এর জীনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি এবং ১৩ শতাংশ ডেন-৩ এর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তার জীনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৭ সালের ডেন-৩ এর জীনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি।

এছাড়া গবেষণায় অংশ নেওয়া রোগীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীর। যার মধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৮২ শতাংশ, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৮ শতাংশ রোগী পরিলক্ষিত হয়। অংশ নেওয়া ৭২২ জন রোগীর মধ্যে ৭১ শতাংশ (৫১৬) রোগী বিপদ সংকেতসহ (Warning Sign) এবং ২৯ শতাংশ (২০৬) রোগী বিপদসংকেত বিহীন ভর্তি ছিল, যাদের মধ্যে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করে। মৃত ১৭ জন রোগীর মধ্যে ১৬ জনই বিপদ সংকেতসহ (Warning Sign) ভর্তি হয়েছিল।

শিশু,ডেঙ্গু,ডেন-২
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত