বিকেলে বসছে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন

একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে রোববার বিকাল ৪টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ৫ অক্টোবর সংসদের এই অধিবেশন ডেকেছেন। এটিই চলমান একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন।

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেছেন, ‘অক্টোবরে চলতি সংসদের আরেকটি অধিবেশন বসবে, সেটাই হবে শেষ অধিবেশন। এরপরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।’

সংবিধান মোতাবেক সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। সংসদের ২৪তম অধিবেশন গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল কিংবা সাংবিধানিক সময়সীমার আগে ৬০ দিন সময় না থাকায় মাত্র ৩৭ দিনের মাথায় পরবর্তী (২৫তম) অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি।

শেষ এই অধিবেশনটি ঠিক কত দিন চলবে, সেটি নির্ধারণ হবে আজ অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠেয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে। কমিটির সভাপতি ও সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেবেন।

বিগত দশম সংসদের শেষ বৈঠক বসেছিল ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর। ঐ বছরের ৮ নভেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হয়। জানা গেছে, চলতি সংসদের এবারের অধিবেশনের শেষ বৈঠকও বসতে পারে ২৬, ২৯, ৩০ বা ৩১ অক্টোবরের যে কোনো দিন।

সংসদের আজকের বৈঠকের শুরুতে এবারের অধিবেশনের জন্য সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন স্পিকার। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার গত ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় তাদের ওপর শোক প্রস্তাব আনা হবে। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে অধিবেশন মুলতুবি করবেন স্পিকার।

সংবিধানে বলা আছে, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার দিন এবং পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেওয়া যাবে না। তাই সাধারণত দুই মাসের মধ্যে একবার অধিবেশন ডাকা হয়। তবে এই বিধান সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের (পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

উল্লেখ্য, আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নভেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সে হিসেবে বিশেষ কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি না হলে এটাই হবে চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন।