'বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সমর্থনে প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র'

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন কথা বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ম্যাথিউ মিলার। আরেক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং সহিংসতার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা এবং সহিংসতা নিয়ে আপনার বিবৃতিটি লক্ষ করেছি। পুলিশ অনেকটা পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে। তারা সমাবেশের পূর্বে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির শত শত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে, আটক থেকে বাদ পড়েনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শত শত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে?

তার প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতায় আমরা নিন্দা জানাই। পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক কর্মীর নিহত হওয়া, হাসপাতাল ও বাসে আগুন দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। একইভাবে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য।’ 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই, তারা যেন ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সবার দায়িত্ব। ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, সুশীল সমাজ ও মিডিয়া—সবার দায়িত্ব।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারির বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবছে- এমন একটি প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিকদের বিস্তৃত পরিসরে যোগাযোগ করতে হয়। যেমন—সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে হয়। এটা তাদের নিয়মিত কাজের অংশ এবং কূটনীতিকেরা তাদের এই কাজ অব্যাহত রাখবেন।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ নিয়ে এর আগে করা প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছি, সেটা এ ক্ষেত্রেও কার্যকর। আমরা এটা স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে প্রয়োজন হলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ নেব, যা আমি পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে পর্যালোচনা করছি না।’

গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ডাক বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। দিনশেষে সমাবেশস্থল সহিংস হয়ে ওঠে। বিরোধী দলগুলো এমন পরিস্থিতির জন্য নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারী দলকে দায়ী করেছে। তারপরই গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু ভোটের আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে সুষ্ঠু ভোটে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।