পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২১ | অনলাইন সংস্করণ

পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় গার্মেন্টসের নিরাপত্তা জোরদারে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আশুলিয়া, সাভার, মিরপুর, রামপুরা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গি ও গাজীপুর-কোনাবাড়ী এলাকার গার্মেন্টসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে। রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) মিরপুরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। পরে তিনি বাধ্য হয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এদিকে আন্দোলনের নামে দেশে তৈরি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বুধবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্প মালিকদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবির সঙ্গে মালিকরাও একমত পোষণ করেছেন।

বুধবার দুপুরে মজুরি বোর্ডের সভা শেষে জানানো হয়, শ্রমিকদের দাবি আমলে নিয়েই বাড়ানো হবে তৈরি পোশাক শিল্পের সর্বনিম্ন মজুরি। এ দিন অনুষ্ঠিত পোশাক খাতে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণে ৫ম সভা শেষে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, তাদের দেয়া প্রস্তাবনা- ১০ হাজার ৪০০ টাকার বেশি বেতন পাবেন শ্রমিকরা। যা কার্যকর হবে আগামী মাস থেকে।

এদিকে পোশাকশ্রমিকদের ওপর হামলা ও বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা রাজধানীর পল্লবীতে চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন। সড়কে আন্দোলন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। সেখান থেকে তারা প্রথমে একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের দিকে যান। সেখান থেকে আগের জায়গায় ফিরে এসে সকাল সাড়ে ৯টার পর একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরের দিকে যান। বর্তমানে তারা পূরবী সিনেমা হলের সামনে অবস্থান করছেন।