অনলাইন সংস্করণ
১৩:০২, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে রশি টেনে চলন্ত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জাহিদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সাথে থাকা কবির মিয়া নামে একজনকেও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বামনডাঙ্গা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের শাখামারা ব্রিজ এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি। নিহত জাহিদুল উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ৭-৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত রশি টেনে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় হামলকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। পিটিয়ে আহত করে তার সঙ্গে থাকা কবিরকে।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে জাহিদুলের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর রাতের দিকে মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মরদেহ রমেক হাসপাতালে রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা জাহিদুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।
