ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হরতালের প্রভাবে চলছে না দূরপাল্লার বাস, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

হরতালের প্রভাবে চলছে না দূরপাল্লার বাস, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

পঞ্চম দফা অবরোধ শেষে বিএনপি জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকা হরতাল কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানীতে কমেছে গাড়ির চাপ। ফলে শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সিএনজি অটোরিকশা, রাইড শেয়ার মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের বিরুদ্ধে।

রোববার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আসাদগেট, ফার্মগেট, মহাখালী, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে গণপরিবহন সংকটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়েছে।

মহাখালী মোড়ে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রাহাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসা থেকে রিক্সায় করে এখানে এসেছি। এসে দেখি রাস্তায় কোন বাস নেই। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষায় রয়েছি।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সোহেল রহমান। কর্মের তাগিদে ফার্মগেট এলাকা থেকে নিয়মিত যাতায়াত করেন রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল এলাকায়। তবে প্রতিদিন বাসা থেকে এসেই গাড়ি পেলেও কিছুটা বিপাকে পড়েছেন আজকে। ৩০ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকেও উঠতে পারেননি কোন পরিবহনে।

সোহেল রহমান বলেন, প্রতিদিন স্ট্যান্ডে এসেই গাড়ি পাই। কিন্তু আজ ৩০ মিনিটের উপরে রাস্তাই দাড়িয়ে আছি গাড়ি পাচ্ছি না। বেশ কিছু সময় পর পর একটা দুইটা গাড়ি আসছে কিন্তু তাতেও উঠার কোন পরিবেশ নেই। গেটে পর্যন্ত মানুষ ঝুলছে। অফিসে কখন পৌছাতে পারবো কিছুই বলতে পারছি না।

দেড় ঘণ্টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ইতিহাস, ডি-লিংক, সেলফি, রাজধানী, বৈশাখী, এসবি লিঙ্ক, সাভার পরিবহন, ঠিকানা পরিবহনসহ বেশ কিছু বাস চলাচল করছে। সেসব বাসে ঠাসা যাত্রী। নতুন যাত্রী তোলার মতো অবস্থা নেই।

গাবতলী পর্বতা সিগন্যালে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল জাকির হোসেন জানান, ভোরে ও সকালে কিছু দূরপাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। এরপর আর চলছে না দূরপাল্লার কোনো বাস। যেসব বাস চলাচল করছে এসব আন্তঃজেলা ও সাভার থেকে ঢাকার ভেতরে চলাচল করে। এর সংখ্যাও আজ কম। এই সিগন্যালে সাধারণ সময়ে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। এতো ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। সেসবের কিছুই নেই আজ।

এদিকে রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো থেকেও ছেড়ে যায়নি কোনো দূরপাল্লার বাস। এছাড়া সকাল থেকে দেখা যায়নি যাত্রীদেরও তেমন আনাগোনাও। যানবাহনে আগুন দেয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ কাউন্টারই খোলা। কিন্তু টিকিট বেচাবিক্রি নেই। কাউন্টারে নেই যাত্রী। হাঁকডাক নেই কাউন্টারগুলোতে। অনেক বাস কাউন্টার দেখা গেছে বন্ধ।

তবে গণপরিবহনের তুলনায় অন্যান্য যানবাহন বেশি চলাচল করতে দেখা যায় সড়কে। এর মধ্যে রয়েছে, ট্রাক, পিকআপ, মিনি ট্রাক, ময়লার গাড়ি, সিমেন্ট কোম্পানির গাড়ি, লরিসহ পণ্যবাহী পরিবহন।

হরতাল,ভোগান্তি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত