নির্বাচনে বিদেশিদের থাবা পড়েছে : সিইসি

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের থাবা পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম তদন্তে গঠিত ‘৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির’ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রে মাঝেমধ্যে ধাক্কা আসে। চাইব শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধরে রাখতে ও সাংবিধানিক ধারা বজায় রাখতে।

ভোটের সময় পোলিং এজেন্টদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সিইসি।

৭ জানুয়ারিকে ভোটের তারিখ ধরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ নভেম্বর সিইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম’- সংক্রান্ত বিষয়গুলো অনুসন্ধান করতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী আসনভিত্তিক এসব কমিটিতে আছেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ও সহকারী জজরা। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে ওই কমিটির কর্মকর্তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে গাড়ি বা প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশের দুজন অস্ত্রধারী সদস্য নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, যথাযথভাবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা দেখতে চাই, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসছেন, ভোট দিচ্ছেন। ৭ জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। ভোটের দিন ১০ গুণ মনোযোগ দেবেন। আমরা চাচ্ছি অবিতর্কিত ফলাফল। ভোটের সময় পোলিং এজেন্টদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সিইসি।