বরিশালে সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ইছাপুরা গ্রামের চৌরাস্তা নামক স্থানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউপি সদস্যের নাম মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে হাতকাটা মামুন (৪৭)। তিনি উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুরা গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে। মামুন ফরিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের দফাদার আব্দুর রহিম বলেন, ইছাপুরা গ্রামের ছোট বটতলা থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইউপি সদস্য মামুন। এ সময় ৫/৭ জনের একটি দল তার ওপর হামলা করে। তিনি দৌড়ে সড়কের পাশে বাগানের মধ্যে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে তার মাথা দুই ভাগ করে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।  

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান রাতে গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়েছি ইউপি সদস্য খুন হয়েছেন। এলাকাটি দুর্গম এবং উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছতে সময় লাগছে।

হামলকারীরা গুলি করলেও তা মামুনের গায়ে লাগেনি বলে জানান রহিম।

তিনি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।  

ফরিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের দফাদার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি পুলিশকে অবহিত করেছি।

ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন সিকদার হত্যায় জড়িত থাকায় তাকে যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেচুর রহমান জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্র আরও জানায়, এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কয়েক বছর আগে জহিরুলের ডান হাত কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।তার বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাকেরগঞ্জ ও বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে।