ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব

রাজধানীসহ সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে ২ দিন

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাইরে বের হওয়া মানুষরা। অনেকেই ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা না থাকলেও এর প্রভাবে আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীত জেঁকে বসতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর (পুন:) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গত মধ্যরাত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।