নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আতশবাজি-ফানুসে নতুন বছর উদযাপন

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১২ | অনলাইন সংস্করণ

সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বরাবরের মতো এবারও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ছিল সবকিছুই। বিকট শব্দে পটকা-আতশবাজি ফোটানোর আওয়াজ আর ফানুস উড়িয়ে উদযাপিত হলো নতুন বছর ২০২৪।  আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। সঙ্গে রয়েছে পটকার শব্দ আর ফানুস।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে (সময় অনুযায়ী ১ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে) রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ক্ষমতাবলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে রয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো, ফানুস ওড়ানো এবং মশাল মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।

ডিএমপি কমিশনারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- III/৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো, ফানুস ওড়ানো ও মশাল মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি।’

আতশবাজির শব্দে মুখরিত হয় সূত্রাপুর, লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজার, বংশাল, ধোলাইখাল, নবাবপুর রোড, ওয়ারীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি দেখা যায় পুরান ঢাকার আকাশ ও অলিগলিজুড়ে। বর্ষবরণ উপলক্ষে বাড়ির ছাদে গানের আসরসহ নানা উৎসবের আয়োজন যেন চোখে পড়ার মতো। এখানকার প্রতিটি বাড়ির ছাদ যেন খ্রিস্টাব্দের নতুন আরেকটি বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার মূল মঞ্চ হয়ে ওঠে। ছাদে দল বেঁধে ফানুস ওড়ানো, বাজি ফোটানো আর উল্লাস। সব মিলিয়ে জীবনের আনন্দ যেন ছুঁয়ে গেছে নগরবাসীকে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ৩১ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার পরও যদি কেউ ফানুস ওড়ায়, আতশবাজি ফোটায় বা অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে, তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হবে।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে আতশবাজি ও ফানুসে সারাদেশে এক কোটি আট লাখ ৬৮ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি না ফোটানো এবং ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তাছাড়া ২০২০ সালে ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫৬ লাখ ছয় হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এসব অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস তিন কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদ উদ্ধার করে।