ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গ্যাস সংকটে রাজধানীবাসী

গ্যাস সংকটে রাজধানীবাসী

আবাসিক ও শিল্পখাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চুলায় গ্যাস থাকে না বললেই চলে। অনেক এলাকায় রাত ১২টার দিকে এসে আবার ভোরেই চলে যায় গ্যাস। আগে কিছু এলাকা এলাকাকেন্দ্রীক গ্যাস সংকট থাকলেও এখন পুরো রাজধানীজুড়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সরবরাহ কমায় সংকট তীব্র হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, মান্ডা, মানিকনগর, জুরাইন, কামরাঙ্গীচর এলাকায় গ্যাস সংকট নিয়মিত সমস্যা ছিল। সম্প্রতি নগরীর মগবাজার, ইস্কাটন, গুলশানসহ অনেক আভিজাত এলাকাতেও গ্যাসের সংকট তীব্র হয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, সকাল ৮টার দিকেই গ্যাস চলে যায়। কখন আসে তার ঠিক নাই। এখন পানি ফুটিয়ে খাওয়ার মতোও পরিস্থিতি নেই। কল থেকে সরাসরি কাঁচা পানি খাচ্ছে সবাই। গ্যাসের চাপ কম থাকায় শুধু ডাল বা ভর্তা খেয়েই দিন পার করছে অনেকে। মাছ বা মাংস রান্না করার মতো গ্যাস সরবরাহ থাকছে না।

অধিকাংশ এলাকার ভুক্তভোগীর ভাষ্য, সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪-৫টা পর্যন্ত গ্যাস থাকছে না। রাতে রান্না করে রাখার পরে সকালে দিনের বেলা যে তা গরম করবেন সেই উপায়ও থাকছে না অনেক এলাকায়। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন। ঝুঁকছেন ইলেকট্রিক চুলার দিকে।

বাসাবাড়ির পাশাপাশি রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাসের প্রয়োজনীয় চাপ নেই। তাই গাড়ির জ্বালানি সংগ্রহে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের। তারপরও চাহিদামতো সিএনজি কিনতে পারছেন না অনেকেই।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাস লাইনে পাউন্ড-বল প্রতি বর্গ ইঞ্চি (পিএসআই) কমপক্ষে ১৫ থাকার কথা, এর থেকে অনেক কম থাকার কারণে মেশিন প্রায় অচল থাকছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ জানান, একইসঙ্গে শীতকাল ও গ্যাস ঘাটতি থাকায় সংকট প্রকট হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে।

গ্যাস,সংকট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত