ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ১৪ পুলিশ সদস্য আশ্রয় নিলেন বিজিবি ক্যাম্পে

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ১৪ পুলিশ সদস্য আশ্রয় নিলেন বিজিবি ক্যাম্পে

জান্তা সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তারা।

এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে প্রবীর ধর নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর এক নারীও। তবে তার নাম-পরিচয় সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লঞ্চার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা রাখতে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে বাংলাদেশের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে, যা এখনো চলমান রয়েছে। গোলাগুলির শব্দে কম্পিত হচ্ছে পুরো তম্ব্রু সীমান্ত এলাকা। কাঁচা ঘরের বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে ভিড় করছেন পাকা ঘরগুলোতে। চলমান গোলাগুলির কারণে রাস্তাঘাটা ফাঁকা ও বাইরে যেতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

তুমব্রু কোনার পাড়ার এক বাসিন্দা জানান, রাত ১১টার দিকে মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশ আমার ঘরেরচাল ভেদ করে ভেতরে পড়েছে। একটুর জন্য আমাদের পরিবার প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি, ঘরেও নিরাপদে থাকতে পারছি না।

এদিকে, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ জনেরও বেশি সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্ত পথে আরও ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মিয়ানমার,পালিয়ে,পুলিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত