আবারও পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে আবারও অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। জানুয়ারির মাসের মাঝামাঝিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও ঠিক শেষের দিকে এসে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ১০০ টাকা। আর গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৮০ টাকার মধ্যে।

আজ (শনিবার) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ একেবারেই শেষের দিকে হওয়ায় এই পেঁয়াজের সরবরাহ বাজারে কম। তাই এই দাম বাড়তি আরও কয়েক দিন থাকবে। এরপর হালি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলে দাম কমে যেতে শুরু করবে।

এদিকে আমদানি না থাকায় কয়েক মাস ধরে আগাম জাতের এ পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। ফলে দেশীয় এ পেঁয়াজের সরবরাহ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারতের রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও গত দুই মাসে চীন ও পাকিস্তান থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগন্য। ফলে তাতে বাজারে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।

ট্রেডিং কর্পোরেশনের অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন, গতকাল বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা আর এক মাস আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু গত বছর এই সময় এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

বাজারে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে এভাবে যখন তখন পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেবে অথচ বাজার তদারকি, মনিটরিং থাকবে না, এটা কেমন কথা? আমরা কি সব সময়ই অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে হার মেনে বেশি দামে কিনেই যাব? ৩/৪ দিন আগেই পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকা কেজি। আজ দেখছি হয়েছে ১৩০ টাকা। তিনদিনের মধ্যে এক লাফে ৩০ টাকা বেড়ে গেল, অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ দেখতে পেলাম না।