গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা: শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

গাজায় এখন যা ঘটছে তা গণহত্যা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার ও তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকার অধিকার রয়েছে।’

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। গাজায় যা ঘটছে তারও বিরুদ্ধে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি গণহত্যা। তাই আমরা কখনই এটিকে সমর্থন করি না।’

জার্মান শহরে ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সেখানে যা ঘটছে তা বেদনাদায়ক। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা ও এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।’

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জন্য বাংলাদেশ সহায়তা পাঠিয়েছে উল্লেখ করে হাসিনা বিশ্বকে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত নারী, শিশুসহ ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন ও সাহায্য করার আহ্বান জানান।

দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই এ ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করে না।’

শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা উচিত।’

গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েল সেই শহরেও হামলা চালানো শুরু করে।

এই শহরে ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল বারবার সতর্ক ও হামলা না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তবে তেল আবিব তাতে কর্ণপাত করেনি।

গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ও গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জানুয়ারিতে এক অন্তর্বর্তী রায়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৮,৬৬৩ জন নিহত হয়েছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও অবরোধে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজার ওপর ইসরায়েলি যুদ্ধের ফলে ভূখণ্ডের ৮৫% জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির দেখা দিয়েছে। উপত্যকার ৬০% অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।