ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবৈধ মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

অবৈধ মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে গণধোলাই দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।

মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। আর এখন কি বলে, তেলের দাম পেঁয়াজের দাম, গরুর মাংসের দাম, এটা কি একটা পরিবর্তন না? পনের বছরের এই পরিবর্তন টা আসছে, সেটা তো স্বীকার করবেন। পনের বছর আগে কি ছিল, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই। শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এই নির্বাচন বানচাল করতে চাইছিল, তারা যখন দেখলো নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না। তখন চক্রান্ত হলো, যে জিনিসের দাম বাড়ালে সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ, এই চক্রান্তটা আছে। আমাদের প্রচেষ্টা সব সময়, যখন করোনাভাইরাসের অতিমারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে। এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রশ্নকারী সাংবাদিককে উদেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার কি মনে হয় আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে? এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে!

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না। ইতোমধ্যেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না। ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং, এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অনেক আগেই এর জন্য ব্যবস্থা করেছি। ‘বাজার ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি কিভাবে মোকাবেলা করবেন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র ছিলো, ষড়যন্ত্র আছে। আপনারা জানেন আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া, ক্ষমতায় যেনো না যেতে পারি। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেনো। রাসেলকে ছাড়েনি, কারণ যেন ঐ রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি এবং আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি। তার পরে আমি ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি, আমার চেষ্টাই হচ্ছে- যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করেছেন সেটাই পূরণ করা। ষড়যন্ত্র প্রত্যেকবার হচ্ছে, বারবার হয়েছে। আজকে মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি, যার সুফল দেশবাসী পাচ্ছে। নির্বাচনটা যাতে না হয় তার জন্য একটা বিরাট চক্রান্ত ছিলো। ২৮ অক্টোবরের কথা একবার চিন্তা করেন, ২০১৩ সালের সেই অগ্নি সন্ত্রাস, ২০১৩/১৪/১৫ এর পর আবার গতবছরের ২৮ অক্টোবর। এগুলো তো আর হঠাৎ করে হয় না, এটা পরিকল্পিতভাবে।

প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত