বিজিবি সদস্য রইসের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয়: বিজিবি ডিজি

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০ | অনলাইন সংস্করণ

গত ২২ জানুয়ারি যশোরের শার্শা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী রইস উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এটা টার্গেট কিলিং নয়। ওই সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় উভয় দিক থেকে বিজিবি ও বিএসএফ দ্বিধা সংশয়ে ছিল। তবে রইস উদ্দিনসহ সব সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ক্লোজ মনিটরিং করছি।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বিজিবি সদর দফতরে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনপরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক জানান, সীমান্ত হত্যা কোনো টার্গেট কিলিং নয়, তবে ভবিষ্যতে কোনো দেশ বা সংস্থার কোনো সদস্য যেন সীমান্তে মারা না যান সে বিষয়ে আরও সচেষ্ট ভূমিকা রাখব।

রইস উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে বিএসএফ ডিজি শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রইস উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশকে আমরা জানিয়েছি। ওই দিন আসলে কী ঘটেছিল, আমি আর এ বিষয়ে ব্যাখ্যায় যাবো না।

নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সেটা দুই দেশের পোশাকধারী ও সাধারণ মানুষ হোক আর যেন কারও প্রাণহানি না ঘটে। সেই লক্ষে আমরা একমত হয়েছি এবং কাজ করছি।

সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক চালান, পণ্য ও মানবপাচার প্রতিরোধ ও  সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় বিজিবি-বিএসএফ। এছাড়া নদী ও পানির উৎস প্রশ্নে (খাল-নদী) সার্ভেসহ যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুরো কনফারেন্সে মাদক ও মানবপাচার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছে দুই বাহিনী। এ প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতিতে দুই দেশ। সীমান্তে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সীমান্ত হত্যার একটি বড় অংশ হচ্ছে সীমান্তে অর্গানাইজড ক্রাইম ও ট্রান্সবর্ডার ক্রিমিনালরা। তাদের বিষযে কঠোর অবস্থানে দুই বাহিনী৷ 

গত ৫ মার্চ শুরু হয় বিজিবি-বিএসএফের ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন। এতে বিএসএফ ডিজির নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

অপরদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের প্রতিনিধিসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।