অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২ | অনলাইন সংস্করণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আটক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন এ কথা জানান।

এ সময় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা নজরদারিতে ছিলেন। গ্রেফতার শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে খণ্ডিত সত্যতা পাওয়া গেছে। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে আজকে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা তদন্ত করে দেখবে গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতটুকু।

তিনি বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার ভিত্তিতে কুমিল্লা পুলিশের চাওয়া অনুযায়ী দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অতিরিক্ত ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এ ধরনের আত্মহনন অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা সবাই বিশ্বাস করি... যে কোনো ধরনের আত্মহনন ধর্মীয়ভাবে অন্যায়, সামাজিকভাবেও অন্যায় আমরা মনে করি প্ররোচনার দায়ে দায়ী ব্যক্তিও সমান অপরাধী। যদি কারো প্ররোচনা থেকে থাকে তবে সেটি বেরিয়ে আসবে। সে অনুযায়ী যারা যারা জড়িত থাকবে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে মৃত্যুর জন্য সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামে দায়ি করেন অবন্তিকা।