অনলাইন সংস্করণ
১৫:০০, ২৩ মার্চ, ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া আট জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও চারজন।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে তিন জন এবং ভৈরব থেকে একজন ডুবুরি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। নিখোঁজ নৌযান এবং ব্যক্তিদের না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর রেলসেতু এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে ভ্রমণে বের হন কয়েকজন যাত্রী। এসময় একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাকে ধাক্কা দিলে এটি ডুবে যায়। এসময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠলেও আটজন নিখোঁজ থাকেন। ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। এরপর একে একে উদ্ধার করা হয় চারজনের মরদেহ।
ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরব রেলসেতুর তিন নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল এতে সুবর্ণা নামের একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর ১২ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও আট জন নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩২), তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫), শিশু কন্যা মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুলসহ (৫) আরও চার জন।
