প্রখর তাপপ্রবাহ আর গরমে জনজীবন এক রকম বিপর্যস্ত। দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে পুড়ে কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক শহিদুলের সঙ্গে। গরমে কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, গরমে মাথা ঘুরাচ্ছে। একটা ভাড়া টানলেই শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে রিকশা চালাই। বড় কোনো ভাড়া টানতে পারি না। ২০ থেকে ৬০ টাকার ভাড়া টানি। গরম না থাকলে রিকশায় তিনজন নিয়েও চলতাম এখন দুইজন যাত্রী নিয়ে চালাতে কষ্ট।
শুধু রিকশাচালক নয় তীব্র গরমে ভোগান্তিতে রয়েছেন ভ্যানচালক থেকে শুরু করে হকার, রাইডারসহ পথচারীরা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর তিন দিনের জন্য (১৯ থেকে ২১ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। এই অবস্থায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।