ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তির প্রায় এক মাস পর এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। তবে জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে অধীর আগ্রহে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় এখন নাবিকরা। গানে-গল্পে জাহাজের ভেতর সময় কাটছে তাদের।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম শনিবার (১১ মে) এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৩ মে বিকেল নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাকি পণ্য খালাস করবে।

এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবে, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এরপর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এটি।

মুক্তির পর জাহাজটি গত ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য মিনা সাকার বন্দরে যায়। গত ৩০ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।

১৩ মের হিসাবে জিম্মিদশার ঠিক দুই মাস পর দেশে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক, যাদের সবাই বাংলাদেশি। জিম্মিদশার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরা নাবিকদের অপেক্ষায় পরিবার ও স্বজনরা।

বাংলাদেশ,এমভি আবদুল্লাহ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত