প্রতারণায় জড়িত হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ১৪:০২ | অনলাইন সংস্করণ

হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে যেসব এজেন্সি প্রতারণা করেছে হজের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

শনিবার (৮ জুন) সকালে রাজধানীর বিমানবন্দরের আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা কিন্তু কোনো ভোগান্তি পাইনি। যখন ভোগান্তির কথা বলা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এদিকে ভারত, পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়া, তাদের ভিসা সম্পন্ন হওয়ার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ ও ৫৯ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের হার ছিল ৬০ শতাংশ। অন্যান্য দেশের ভিসা বন্ধ হলেও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের ভিসা এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়নি। 

বিগত দিনে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির অব্যবস্থাপনার জন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে জানিয়ে ফরিদুল হক বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব এজেন্সি ও ব্যাংক হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কবে নাগাদ ট্রাভেল এজেন্সি ও ব্যাংকের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে নির্বিঘ্নে হজে যেতে পারবে মানুষ এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের মাধ্যমে হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে পরার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সঠিক ছিল। গতবছর দুই জায়গাতে সমস্যা হয়েছিল, আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা সমাধান করেছিলাম। শেষের দিকে এসে একটি ব্যাংকে প্রবলেম (সমস্যা) হওয়া সত্ত্বেও আমরা এক দিনের মধ্যে তা সমাধান করেছি।

ফরিদুল হক খান বলেন, যেসব ব্যাংক হজযাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে সেসব ব্যাংক ও এজেন্সির তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যার অপরাধ যতটুকু তার শাস্তিও ততটুকু হবে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজ পালনে ইচ্ছুক প্রায় ৮৫ হাজার মুসল্লির মধ্যে ইতোমধ্যে ৭০ হাজার চলে গেছে। কোনো ভিসা জটিলতা না থাকায় ১২ জুনের মধ্যে বাকি ১৫ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর চলতি মৌসুমে হজের নিবন্ধন শুরু হয়। যা চলে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। হজে গমনেচ্ছুদের প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।