ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ

‘রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিজেদের ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এমন কথা সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা রাজাকার বলে স্লোগান দিচ্ছে তারা কি মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানে? মুক্তিযুদ্ধের পাশবিকতা তারা দেখেনি। দুর্ভাগ্য তারা কি শিখলো? ইতিহাস জানেনা বলেই নিজেদের রাজাকার বলতে শিক্ষার্থীরা লজ্জা পাচ্ছে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ভাবতে অবাক লাগে রোকেয়া হলের মেয়েরাও বলে তারা রাজাকার। তারা কী শিক্ষা পেলো! তারা কী জানে ২৫ মার্চ কী হয়েছিল! এসব তারা দেখেনি। তাই তারা রাজাকার পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধোর চেতনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে। লাখো মা-বোন নির্যাতিত। তাদের এই অবদান ভুললে চলবে না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী যেভাবে এদেশের অত্যাচার করেছে, আমার খুব দুঃখ লাগে যখন রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার।

তিনি বলেন, তারা কি জানে একাত্তর সালের পচিশে মার্চ কি ঘটেছিল সেখানে? তিন’শ মেয়েকে হত্যা করেছিল, ৪০ জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওরনা নিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল বলে তাদের সেগুলো পড়তে দেয়া হতো না। ওই এক কাপড়ে বসিয়ে রাখতো। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা হতো।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোটা আন্দোলন করার আগে তো তোদের রেজাল্টগুলো দেখা উচিত ছিল যে- কোথায় তারা দাঁড়িয়েছে! দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি পুতিরা (চাকরি) পাবে?

প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষালয়ে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেন এবং স্লোগানে বলতে থাকেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’।

রাজাকার,ক্ষোভ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত