ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাঁজোয়া যানসহ পুলিশের অবস্থান

থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাঁজোয়া যানসহ পুলিশের অবস্থান

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দিনভর থেমে থেমে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হলের সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছে। কিছু হলের ভেতরে আন্দোলনকারীরা আটকা পড়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাঁজোয়া যানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন হলের সামনেও অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ আপাতত থামলেও যেকোনো সময় আবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে তারা।

এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের একটি গ্রুপ এবং পুলিশের সাঁজোয়া যান একসঙ্গে সামনের দিকে আগাতে দেখা যায়। এছাড়া আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে দেখা যায়। এ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

সন্ধ্যা ৭টার পর শহীদুল্লাহ হলের ভেতরে অবস্থান করা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেনের উপস্থিতিতে হলের নিচে নেমে আসেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করায় বিক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘টোকাই-পুলিশ গো ব্যাক গো ব্যাক’, ‘আমার উপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তাদের সঙ্গে অনেককেই বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।

এদিকে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হল প্রভোস্টদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, আজ রাতে হল প্রভোস্টরা নিজ নিজ হলে অবস্থান করবেন। এছাড়া আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা বিজ্ঞপ্তিতে আকারে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। হল বন্ধ ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে বেলা ১২টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের রাজাকার বলেছেন এমন অভিযোগ তুলে সরকারপ্রধানের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দুপুরে তারা জড়ো হলে সেখানে সমাবেশ করতে আসে ছাত্রলীগ। প্রথমে ছাত্রলীগকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলেও পরে ছাত্রলীগের হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা পিছু হটে। অল্প সময়ের ভেতরে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এরপর থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ।

ছাত্রলীগের হামলায় কোটা আন্দোলনকারী দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার দাবি করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, হামলা চালিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান নাহিদ।

এদিকে দিনভর সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কোটা সংস্কার,আন্দোলন,সংঘর্ষ,পুলিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত