সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আহতরা যে দলেরই হোক, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে সহিংসতায় আহতদের খোঁজখবর নেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত নির্বিশেষে আহত সবার চিকিৎসা ও আয় রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোটা নিয়ে সব দাবি মেনে নেয়ার পরও কেন আন্দোলন শেষ হচ্ছে না? বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা-বর্বরতার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।এসময় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে (বিটিভি) চালানো ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।

বিটিভি পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ও শিবির দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই দেশব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সহায়তা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মেট্রোরেল, বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যে যেখানে আছে তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা করুন। আমি দেশবাসীর কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের রাজাকার বলে স্নোগান দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়ত অতীতের মতোই অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা…। তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত সপ্তাহে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। শিক্ষার্থীদের এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং কয়েকশ আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়, ধাপে ধাপে যা শিথিল করছে সরকার।