বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

তিন দাবিতে আরও কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটাম

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১১:১১ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিসহ তিনটি দাবি মেনে নেওয়া না হলে সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পাশাপাশি মন্ত্রী থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত যারা সহিংসতার জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি জানান তারা।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই ঘোষণা দেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামীকালের মধ্যে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার এবং ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী গণহত্যার সাথে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পরশুদিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।

তারা আরও বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও নগরকেন্দ্রিক ‘হেলথ ফোর্স’ গঠন করে আহত-নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, এবং আহত-নিহত ছাত্র-নাগরিক ও তাদের পরিবারকে মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেইসাথে ‘লিগ্যাল ফোর্স’ গঠন করে সারাদেশে অসংখ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ডকুমেন্টেশন এবং যাদের আইনী সাহায্যের প্রয়োজন তাদেরকে সেই সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করবে।

সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, রোববার (২৮ জুলাই) জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ে হেলথ ফোর্স এবং লিগ্যাল ফোর্স গঠন করা হবে। তারা সারাদেশে আহত ও নিহতদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।

আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে সরকার। এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে। চলমান গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের দাবি জানাই।

 

আবা/এসআর/২৪