ভারী বর্ষণে নোয়াখালী ও ফেনীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নোয়াখালী, ফেনী ও মিরসরাইয়ের বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। 

নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার সবকটিতেই বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এতে লোকজনের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে পুরো নোয়াখালী জেলাজুড়ে। জেলার সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা।

ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পূর্বের ভাঙ্গা বাঁধের ২৪টি স্থান দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ৭০ গ্রামে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৩ হাজার পরিবার। বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ।

এদিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে টানা চারদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধলাখ পরিবার। ঢলের স্রোতে ভেঙে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক। ক্ষতি হয়ে রোপা আমন ও সবজি ক্ষেতের। ভেসে গেছে লক্ষাধিক টাকার মাছ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মাছচাষিদের শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে।

জানা গেছে, টানা চারদিনের বৃষ্টিতে মিরসরাইয়ের করেরহাট, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই পৌরসভার নিম্নাঞ্চল, জোরারগঞ্জ, ইছাখালী, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, খৈয়াছড়া, ওসমানপুর, সরকারতালুক, খিলমুরারী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এ বন্যার ঘটনায় অনেক এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

আবা/এসআর/২৪