ভারিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে পুরুষ রয়েছে ৪২ জন। এছাড়া ৭ জন মহিলা এবং ১৮ জন শিশু রয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যাকবলিত ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষীপুর ও কক্সবাজারের ৬৮টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা ৫০৪টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বন্যায় ৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৭টি পরিবার এখনো পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫১ লাখ ৮ হাজার ২০২ জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৪১ জন। পাশাপাশি বন্যাকবলিত ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৪৭২টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। অন্যদিকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৮৩০টি গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
আবা/এসআর/২৪
