গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। এতে গাজীপুর সদরের শিরিরচালা এলাকার মহাসড়কের চক্রবর্তী থেকে জিরানি পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে।

গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও চক্রবর্তী এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন কারখানার শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিন্স লিমিটেড ও নায়াগ্রা টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। অপরদিকে, চক্রবর্তী এলাকায় বকেয়া বেতন ভাতার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা।

এদিকে, গাজীপুরের সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার শিরিরচালা এলাকার এক্সিকিউটিভ হাই ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, কারখানাটিতে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক আছে। ইতোপূর্বে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কারখানার আয়রন ম্যান মো. আরমানকে মারধর করে মানিব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নেয়। শ্রমিকদের সন্দেহ দাবি উপস্থাপন করায় কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের লোকজন দিয়ে আরমানকে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করছে।

শিল্প পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার সৃজন ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাজীপুরা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় ওই মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

অপরদিকে, গাজীপুরের সদর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকার বেতন বৃদ্ধিসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তাসমিয়া হারবাল লিমিটেডের শ্রমিকর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে তারা কারখানার ভেতরে হইচই শুরু করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করছে শিল্প পুলিশ।

 

আবা/এসআর/২৪