চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি : উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। অল্প একটু যা সমস্যা হয়েছে তা ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে নেট সেবা নির্বিঘ্ণ আছে৷ 

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফেনীর ছাগলরাইয়ার রাধানগরের দক্ষিণ আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানের জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।  

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে আজকে কয়েকজন উপদেষ্টা সেখানে যাচ্ছেন। অভ্যন্তরীণভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। দেশ সংকটকালীন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে। নানাভাবে পরিস্থিতির সংকট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুনর্বাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে যেহেতু প্রতিবছর বন্যা হয় সেজন্য স্থায়ী একটি সমাধান প্রয়োজন। ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বাঁধগুলো কিভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখন আমরা পুনর্বাসন কার্যক্রমে জোর দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে গৃহ নির্মাণে সবার চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি যাদের শিক্ষা সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে তা দ্রুত সরবরাহ করতে হবে। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের এভাবে বাঁধ খুলে দেওয়া উচিত হয়নি। যদিও তারা বিষয়টি স্বীকার করেনি। এ বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন, কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য ভারতের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

আবা/এসআর/২৪