এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেখানে সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। এ সরকার এমন বাংলাদেশে গঠন করতে চায় যেখানে সব সম্প্রদায় এবং নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করতে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

শনিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার চতুর্থ দিনে মহানবমী উদযাপিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এদিন সকালে শুরু হয়েছে নবমী পূজা।

মহানবমীর দিন দেবী দুর্গার বিদায়ের সুরে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে প্রতিটি মণ্ডপের পরিবেশ। সন্ধ্যায় দেবীদুর্গার ‘মহাআরতি’ করা হয়। নবমীতে বলিদান ও মহানবমী হোমের রীতি রয়েছে। মূলত ‘সন্ধিপূজা’ শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী। এছাড়া ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে পূজা হবে দেবীদুর্গার। পূজা শেষে থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মাঝে বইবে বিষাদের সুর।

শ্রী শ্রী চন্ডী থেকে জানা যায়, এদিন দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তার ৩ যোদ্ধা চন্ড, মুন্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন। নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। সন্ধিপূজা হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর সূচনার প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে। আর ঠিক এই কারণে পূজার মন্ত্রেও সেই বিশেষত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া শারদীয় এ দুর্গোৎসবের শেষ হবে রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।