ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘চাকরিতে পুরুষের ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে’

‘চাকরিতে পুরুষের ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর্থসামাজিক দিক বিবেচনায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘বয়স বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। বয়স বাড়লে কোনো বৈষম্য হবে না। পৃথিবীর অনেক জায়গায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স বেশি। ছেলেদের ৩৫ আর মেয়েদের ক্ষেত্র ৩৭ সুপারিশ করা হয়েছে।’

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের আমরা এই কারণে দিয়েছি যে, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফ্যামিলি অব্লিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চা-কাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনো। সেজন্য আমরা এ সুপারিশ দিয়েছি, যেন নারীরা এ সুবিধাটা পায়, তারা আসতে পারে।’

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘৩৫ বছর (চাকরিতে প্রবেশে) সবার জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে নারীদের জন্য আমরা দুই বছর বাড়িয়ে ৩৭ বছর সুপারিশ করেছি। এটা করেছি কারণ আরও বেশি সংখ্যক নারী যেন অংশগ্রহণ করতে পারে, আসতে পারে, পরীক্ষা দিতে পারে, চাকরি-বাকরিতে আসতে পারে।’

অবসরের বিষয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি বলেও জানান মুয়ীদ চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যারা অবসরে যাবে তাদের তো প্রয়োজন নাই। এখন এটা বিবেচনার বা চিন্তার প্রয়োজন নাই।’

এদিকে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ গত ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সে চিঠি বা প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আবা/এসআর/২৪

চাকরি,বয়সসীমা,সুপারিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত